১। ডিপ-ইন-এডঃ নেত্রকোণা পিটিআইতে 2017-18 শিক্ষা বর্ষে অত্র জেলার 160 জন শিক্ষক ডিপ-ইন-এড প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। 18 মাস ব্যাপী এই প্রশিক্ষণের আওতায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের সকল আধুনিক কলা-কৌশল তাত্বিক ও ব্যবহারিকভাবে শিখানো হয়।
২। সি-ইন-এডঃ ইহা ডিপ-ইন-এড এর পুরাতন ভার্সন। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের গতানুগতিক কলা-কৌশল ও তাত্বিক ও ব্যবহারিকভাবে শিখানো হয়।
৩। নিড বেইজ সাব-ক্লাষ্টারঃ ব্যবহারিক পর্যায়ে সৃষ্ট নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী ইউআরসি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মডিউল এর উপর এইউইওগণ শিক্ষকগণকে এই প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। প্রতি বছরে চারটি কোয়াটারে এই প্রশিক্ষণ চলমান থাকে।
৪। প্রাক-প্রাথমিকঃ ৫-১0 বছরের শিশুদের মধ্যে ৫+ বয়সের শিশুরা প্রাক-প্রাথমিক /শিশু শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। এই বিষয়ে প্রত্যেকটি পুরাতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরাই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক। এই নিয়োগকৃত প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকগণের জন্য অফিস মেনেজম্যান্ট ও পাঠদান করানোর কলা-কৌশল শিখানো বিষয়ক ১৫ দিন ব্যাপী প্রাক-প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৫। প্রধান শিক্ষকদের লীডারসীপঃ প্রত্যেক বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রধান শিক্ষককে ১৫ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এখানে প্রত্যেক প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় পরিচালনা, পাঠদান মনিটরিং ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কৌশল হাতে কলমে শিখানো হয়।
৬। বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ৬ টি বিষয়ের পড়ানোর অংশ হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষককে প্রশিক্ষিত করার জন্য বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এখানে শিক্ষকগণের মধ্য থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরক কর্তৃক প্রনীত নীতিমালা অনুযায়ী মাস্টার ট্রেইনার সৃষ্টি করে সহকারী শিক্ষকগণকে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ক্লাসরুমে দক্ষতার সাথে পাঠদান করানো হয়।
৭। মার্কারঃ সাময়িকসহ বার্ষিক পরীক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা প্রশ্নপত্র তৈরী ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য হাতে কলমে ৩ দিনের মার্কার প্রশিক্ষণ করানো হয়। বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষিত শিক্ষকগণের মধ্য থেকে প্রার্থী নির্বাচন পূর্বক এই মার্কার প্রশিক্ষণ করানো হয়।
৮। অটিজমঃ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করনের জন্য বিভিন্ন কলা-কৌলশ প্রয়োগের মাধ্যমে বিশেষ উপকরণ ব্যবহার করে পাঠদান করাতে প্রধান শিক্ষকগণের ৭ দিন ব্যাপী অটিজম প্রশিক্ষণ করানো হয়।
৯। স্লীপঃ স্লীপ হচ্ছে বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা। বিদ্যালয় পর্যায়ে নিজস্ব প্রয়োজনে ছোট খাট উন্নয়ন কাজ পরিকল্পনা মাফিক তৈরী পূর্বক তা বাস্তবায়ন করার কৌশল এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিখানো হয়। বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রত্যেক বছরের জন্য আলাদা হয়ে থাকে।
১০। আইসিটিঃ একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার অংশ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে গৃহীত কার্যক্রম সমূহের মধ্যে ক্লাসরুমে ডিজিটাল কনন্টেন্ট তৈরী পূর্বক ক্লাস নেয়া ও তার ফলাবর্তণ প্রদানের জন্য প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে নির্ধারিত শিক্ষকগণকে ১২ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
১১। ই-মনিটরিংঃ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণসহ জেলার অন্তর্গত সকল পরিদর্শণকারী কর্মকর্তাগণের জন্য ৩দিন ব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক সৃষ্ট নির্ধারিত এপস্ এর মধ্যমে কাগজবিহীন অনলাইন পরিদর্শণ করার জন্য এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়। এর মধ্যেমে প্রত্যেক পরিদর্শণকারী কর্মকর্তাগণ স্মার্ট ডিভাইজে ইনটারনেট সংযোগ দিয়ে বিদ্যালয়ে গমণ করে দিনব্যাপী অবস্থান করে জিপিএস এর আওতায় পরিদর্শণ পূর্বক রিপোর্ট প্রদান করে থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস